এবার ভারতের বিহারের মুখ্যমন্ত্রী ও জনতা দলের (জেডিইউ) প্রধান নীতীশ কুমারকে বিরোধী দলগুলোর জোট ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী পদের প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। তাকে নিজেদের জোটে ভেড়াতে ইন্ডিয়া জোট এই প্রস্তাব দিলেও নীতীশ সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন।
শনিবার (৮ জুন) ইন্ডিয়া টুডে টিভিকে দেয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে এই দাবি করেছেন জেডিইউ নেতা কেসি ত্যাগী। তবে ত্যাগী এমন দাবি করলেও তা অস্বীকার করেছে কংগ্রেস। খবর ইন্ডিয়া টুডের। ত্যাগী বলেন, ইন্ডিয়া জোটের তরফ থেকে নীতীশ কুমার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব পেয়েছিলেন।
তিনি সেই লোকদের কাছ থেকে এই প্রস্তাব পেয়েছিলেন যারা তাকে ইন্ডিয়া জোটের আহ্বায়ক হতে দেয়নি। তবে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। আমরা দৃঢ়ভাবে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটর সঙ্গে আছি।
তবে কংগ্রেস নেতা কেসি ভেনুগোপাল বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য নীতীশ কুমারের কাছে ইন্ডিয়া জোট গেছে, এমন তথ্য দলের কাছে নেই। আমাদের কাছে এমন কোনো তথ্য নেই। শুধু তিনিই এ বিষয়ে জানেন।
গত মঙ্গলবার ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হয়। সেখানে দেখা যায়, বিজেপি এককভাবে ২৪০টি আসন পেয়েছে। কংগ্রেসের ইন্ডিয়া জোট ২৩২ আসনে জিতে চমক দেখিয়েছে। এ ছাড়া বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের জেডিইউ ১২টি এবং অন্ধ্রপ্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুর তেলুগু দেশম পার্টি বা টিডিপি ১৬টি আসন পেয়েছে।
তবে অন্য বারের মতো সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ২৭২টি আসন পায়নি নরেন্দ্র মোদির বিজেপি। ফলে সরকারে আসতে জোট গঠনের পথে হাঁটতে হয় বড় দলগুলোকে। এমন কঠিন সমীকরণের মধ্যেই খবর ছড়ায় যে নীতীশ ও নাইডুর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছে ইন্ডিা জোট। যদিও এই দুজনই মোদির এনডিএ জোটের শরিক নেতা।
তবে ভারতীয় রাজনীতিতে জোট বদলের জন্য পরিচিত এই নীতীশ কুমারই ইন্ডিয়া জোট গঠনের কারিগর ছিলেন। গত বছর পাটনায় জোটের প্রথম বৈঠকে সভাপতিত্বও করেছিলেন তিনি। কিন্তু ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে বিরোধী জোট ছেড়ে আবারও ক্ষমাতাসীন এনডিএ জোটে যোগ দেন তিনি।